আমার নানা “আলহাজ্ব নওয়াব আলী ” ।
আমি তাকে খুব কাছ থেকে যততকু দেখেছি ততটকু তার আর কোন নাতি – নাতনী দেখেনি । তিনি একজন ছন্দ পিয়াসী লোক ছিলেন । যখনি তিনি অবসর হতেন , নাতি- নাতনিদের সাথে আড্ডা দিতেন তখনি গল্পে আর ছন্দে মেতে উঠতেন । আমি নানাকে প্রশ্ন করেছিলাম নানা “তুমি এইগুলো কই থেকে শুনেছো ? ” তিনি বলেছিলেন এগুলো তিনি মাঠে-ঘাঁটে থেকে সংগ্রহ করেছেন । যখন ক্ষেত-খামারে দিন মজুর কাজ করতে আসতো তখন তাদের মুখ থেকে শুনেছেন ।নানা যখন ছন্দ গুলো বলতো আমি কাছ থেকে এগুলো শুনতাম । একদিন মনে হল নানা বুড়ো হয়েছে , কে জানে আর কতদিন তিনি আমাদের মাজে থাকবেন । এগুলো সংগ্রহ করে রাখলে কেমন হয় । সেই থেকে আমি এগুলো রেকর্ড করে রাখতাম । আজ নানা আমাদের মাজে নেই কিন্তু তার কিছু স্মৃতি আমি ধরে রাখার চেষ্টা করেছি ।